সংহস্কৃতিক Coexistence

এই কথা তে সবাই হয়তো একমত হবেন যে, পশ্চিমের সাহিত্য ও সংস্কৃতির একটা বড় ছাপ আমাদের ‘traditional’ বঙ্গ সংস্কৃতির ওপর পড়েছে।
আমরা পশ্চিমের ইউনিভার্সিটি তথা তাদের গোটা শিক্ষা-ব্যবস্থা, তাদের architecture, ইতিহাস, স্বাদ, শিল্প-সংস্কৃতির খুব বড় ভক্ত। আর হবো না বা কেন? একটা সভ্যতা যেটা প্রায় ২০০০ বছর ধরে চলে আসছে, মধ্যযুগের অন্ধকার পার করে রেঁনেসার নবজাগরণ, এত বিজ্ঞান, এত আবিষ্কার, জাগ জমক যেকোন মানুষকে আকৃষ্ট করবে বৈকি…
বাঙালি যতই নালিশ করুক যে, প্রাশ্চাত্ত সংস্কৃতি আমাদের নষ্ট করছে, দিনের শেষে দেখা যাবে সেই বাঙালি স্যুট পরে পার্টি তে ফূর্তি করছে কিংবা Wordsworth এর লাইন আওড়াচ্ছে, Marx এর দর্শন নিয়ে পাড়ার রকে আলোচনা করছে, এমনকি পশ্চিম যে আমাদের রবি ঠাকুরকে Nobel দিয়ে সন্মান জানিয়েছে সে কথাও বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াচ্ছে।

তবে সব কিছুতে West এর ছাপ ,আর modern বঙ্গ মায়েদের গর্ব করে বলা যে তার ছেলে বা মেয়ে বাংলায় ভালো না এর মাঝখানে বাঙালি হয়তো নিজের শিকড় টা আগলে আছে।
হয়তো এখনো বাঙালির book-shelf ঘাটলে Paulo Coelho, Conan Doyle, Mark Twain এর মাঝে দু একটা রবি ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়, শরৎচন্দ্র, শরদিন্দু পাওয়া যাবে বৈকি।
উৎসব এর দিনে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম, সিঁদুর খেলা এখনও পশ্চিমের Thanksgiving কে হার মানায় বৈকি।
এখনো দিনের শেষে বাঙালি Bacon আর পুডিং এর থেকে মায়ের হাতের আলু-পোস্ত খেলে বেশি স্বস্তি পায়।
তবে এত কিছুর মাঝে বাঙালির Cultural Dilemma টা কোথায়? চারিদিকে তাকিয়ে দেখি সব জায়গাতে প্রাচ্য আর প্রাশ্চাত্ত খুব ভালো ভাবেই মিশে আছে।
Victoria Memorial এর পাশে মোহর-কুঞ্জ তো নালিশ করেনা, Writer’s এর উল্টো দিকের লাল দীঘি ও বিরক্ত হয়না তবে আপত্তি টা কোথায়?
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, সংস্কৃতি সবই সমান, শুধু মাত্র ভালো টা ছেকে নেওয়া আবশ্যক।
আর এই ছেকে নেওয়া টা, বাঙালি খুব ভালো মতোই জানে…

Leave a comment